‘শহীদজননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তা গ্রহণ করবে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। এই হস্তান্তর উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এখন যেটা ‘শহীদজননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’, সেটা ছিল শহীদজননীর বাসভবন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের এই বাড়িতে বসেই নিজের ডায়েরিতে দিনলিপি লিখেছিলেন তিনি; যা স্বাধীনতার পর ‘একাত্তরের দিনগুলি’ নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়। আর এই বাড়ি থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে যায় তাঁর বড় ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমীকে। মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাইফ ইমাম জামী বলেন, তিনি ১৭ বছর আগে বাড়িটিতে খুব ছোট পরিসরে একটি জাদুঘর চালু করেছিলেন। ধীরে ধীরে সেখানে নিদর্শনসংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রায় পাঁচ হাজার নিদর্শন রয়েছে। সেটি এত দিন তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তি ছিল। এখন তাঁর নিজেরও বয়স বেড়েছে। ভবিষ্যতে রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য তা জাতীয় জাদুঘরের কাছে হস্তান্তর করছেন। শহীদজননীর জন্মদিন ৩ মে, তাই এই দিনেই স্মৃতি জাদুঘরটি হস্তান্তর করেছেন। শনিবার (৪ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদজননী জাহানারা ইমাম জাদুঘরটি গ্রহণ করবে জাতীয় জাদুঘর।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, শহীদজননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরটি পরিচালনার জন্য এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই জাদুঘর থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, শহীদজননী জাহানারা ইমাম এবং শহীদ রুমীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।