দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসান চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুর এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানির ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
আজ রোববার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ প্রথম আলোকে জানান, দেশের সব জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিতে সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। প্রায় সবগুলো জেলায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারী, উসকানিদাতা ও সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে দুর্গাপূজা যেন শাস্ত্রীয় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ৫ আগস্ট পরবর্তী চলমান সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সহিংসতার তদন্ত, সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে করা ‘হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পাশাপাশি দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয় স্মারকলিপিতে। সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতায় নিহতের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে তাতে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় পুনরায় সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনেরও দাবি জানানো হয়েছে।