লাঠিপেটা করে মালিবাগে রেললাইন থেকে অস্থায়ী শ্রমিকদের সরিয়ে দিল পুলিশ

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করা শ্রমিকদের সরিয়ে  দিচ্ছে রেল পুলিশ সদস্যরা। মালিবাগ, ৩ সেপ্টেম্বর।
ছবি: দীপু মালাকার

রাজধানীর মালিবাগে রেললাইন আটকে কর্মসূচি পালন করা রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ১০টার পর থেকে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন শুরু করেন। বেলা দুইটার পর তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকেরা চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে কর্মসূচি পালন করছেন। এর ধারাবাহিকতায় আজও কর্মসূচি পালন করছিলেন। দুপুরে হঠাৎ পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে রেললাইন থেকে সরিয়ে দেয়।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিপেটার সময় অনেকেই আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে পুলিশ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে।

মোকলেছুর রহমান নামের এক আন্দোলনকারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বাধা দিয়েছে। অনেককেই আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের লাঠিপেটায় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অভিযানে আছি। কথা বলতে পারছি না।’

আন্দোলনকারীরা বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। রেলের মহাপরিচালক ও সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন তাঁরা সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান।

রেলওয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সকালে রংপুর এক্সপ্রেস ও টাঙ্গাইল কমিউটার নামের দুটি ট্রেন মালিবাগে গিয়ে আটকে পড়ে। এর পর থেকে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন শুরু হয়।

শ্রমিকেরা বিভিন্ন সময় বলেছেন, বিজ্ঞাপন দিয়ে সারা দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলে চাকরি করছেন। চুক্তি ছিল তিন থেকে চার বছরের মধ্যে তাঁদের স্থায়ী করা হবে। কিন্তু আজও রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের স্থায়ী করেনি; বরং তাঁদের বাদ দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন করে কর্মচারী নিয়োগের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁরা।