আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আন্দোলনকারীরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন
আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আন্দোলনকারীরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন

কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের এই অবরোধ কর্মসূচির কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’—এসব স্লোগান দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, যাতে মেধাবীরা সুযোগ পান, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন।

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আজ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ঘোষণা অনুযায়ী, সড়ক ও রেলপথ এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়। বাংলা ব্লকেডের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় হওয়ার কথা গতকাল জানানো হয়।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে সরকার পরিপত্র জারি করে। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরিপত্র বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানির দিন ধার্য ছিল ৪ জুলাই। সেদিন শুনানি মুলতবি করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই কোটা বাতিলের ওই পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে ১ জুলাই থেকে তাঁদের টানা আন্দোলন চলছে। দাবি আদায় না হওয়ায় ৭ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচিতে এক দফা দাবির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেটি হচ্ছে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে আইন করে কোটাপদ্ধতি সংস্কার।