ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিন সপ্তাহে পাঁচ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে। জনসাধারণের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পরের তিন সপ্তাহে এই টোল আদায় হয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার ১৫২টি যানবাহন চলাচল করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল দেন।
এর পরদিন (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরো কাজ শেষ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বলেন, পুরোটা চালু হলে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলতে পারে বলে জানান তিনি।
এ এইচ এম এস আখতার আরও বলেন, কিন্তু এর র্যাম্পে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে। যদিও গতিসীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়নি। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চলাচল শুরু করেছে। বাসযাত্রীরা এখন মাত্র ৩৫ টাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে পারছেন।
খেজুরবাগান থেকে উত্তরার জসিমউদ্দীন পর্যন্ত রুটে প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৮টি বাস চলাচলের কথা ছিল। এখন বাসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে।
আরও পড়ুন:
ওপরতলা আর নিচতলার যোগাযোগ-বৈষম্য দৃশ্যমান হয়েছে