সংসারের হাল ঘোরাতে দুই বছর আগে কিস্তিতে প্রাইভেট কারটি কিনেছিলেন মহিউদ্দিন (৫২)। নিজেই চালাতেন। গত সোমবার যাত্রী নিয়ে বরিশাল গিয়েছিলেন। গতকাল বুধবার দুই যাত্রী নিয়ে ফিরেছিলেন ঢাকায়। এদিন রাতে এক দুর্ঘটনায় সেই গাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মহিউদ্দিনের স্ত্রী আরজু বেগম। গতকাল গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন তিনি। দুই সন্তান নিয়ে এই দম্পতি মগবাজারের নয়াটোলায় থাকতেন। মহিউদ্দিনের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার পূর্বাচল উম্মেদ গ্রামে।
গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহিউদ্দিনের প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরজু বেগম বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে তাঁকে ঢাকায় ফেরার কথা জানিয়েছিলেন মহিউদ্দিন। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। পরে ওয়ারী থানার পুলিশের কাছে খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে স্বামীকে মৃত অবস্থায় পান।
আরজু বেগম বলেন, গত সোমবার নিজের প্রাইভেট কারে করে যাত্রী নিয়ে বরিশালে গিয়েছিলেন মহিউদ্দিন। গতকাল সেখান থেকে দুই যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। তিনি জানতে পেরেছেন, দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী মারা গেলেও প্রাইভেট কারের পেছনে থাকা দুই যাত্রী বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন।