রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গত ১৭ দিনে যানবাহন ও বিভিন্ন জায়গায় ১৫০টি আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি আগুন লাগানো হয়েছে ঢাকা শহরে। এ ছাড়া বাসে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে। আর সিলেট বিভাগে আগুন লাগানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আজ মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে দেখা যায়, গড়ে দিনে পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে। আর রাত থেকে দিনে বেশি আগুন লাগানো হয়েছে।
এই ১৭ দিনে কতগুলো ও কী ধরনের যানবাহন আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে, তার হিসাব দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তারা বলছে, অগ্নিকাণ্ডে মোট ৯৪টি বাস, ৩টি মাইক্রোবাস, ২টি প্রাইভেট কার, ৮টি মোটরসাইকেল, ১৩টি ট্রাক, ৮টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি পিকআপ, ২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১টি নছিমন, ১টি লেগুনা, ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি, পুলিশের ১টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি বিএনপি কার্যালয়, একটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর কার্যালয়, দুটি বিদ্যুৎ কার্যালয়, একটি বাস কাউন্টার, দুটি শোরুম পুড়ে যায়।
২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সিটিতে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, বলছে ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া দেশের ২৫টি জেলায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় আগুন লাগানোর কোনো খবর ফায়ার সার্ভিস পায়নি।
দেশের সব বিভাগে আগুন লাগানোর ঘটনা থাকলেও সিলেট বিভাগে কোনো ঘটনা ঘটেনি, বলেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের হিসাব অনুসারে, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন জেলার হিসাব করে ফায়ার সার্ভিস বলছে, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে ৮টি, নারায়ণগঞ্জে ৬টি, বগুড়ায় ৫টি, মানিকগঞ্জে ৪টি, ফরিদপুরে ৪টি, লালমনিরহাটে ৪টি করে আগুন লাগানোর খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিস আরও বলেছে, দিনের বেলার তুলনায় রাতে (সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা) আগুন লাগানোর ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সারা দেশে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য। দুজন সাধারণ সদস্য। অগ্নিকাণ্ডে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া রাজধানীর শাহজাহানপুরে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।