রাজধানীর চকবাজারের দেবী ঘাটের আগুনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছে। সবাই স্থানীয় বরিশাল হোটেলের কর্মচারী। নিহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আজ বেলা ১২টার দিকে এখানে আগুন লাগে। পরে বেলা ২টা ২০ মিনিটে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে ছুটে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর কয়েকজন নিখোঁজ ছিল বলে জানা যায়। এরপর একের পর এক লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহত ব্যক্তিরা সকলেই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী। রাতে ডিউটি করে হোটেলের ওপর একটি রুমে তারা ঘুমাচ্ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসে ওয়্যার হাউস পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেই ভবনের নিচতলায় ‘বরিশাল হোটেল’ নামে একটি হোটেল আছে। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জিল্লুর রহমান আরও বলেন, যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেটাসহ আশপাশের কোনো ভবন নির্মাণের নিয়মনীতি মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দেরি হয়েছে।
লালবাগ পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে এসব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সরকারি জমি লিজ নিয়ে এসব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। যে হোটেল থেকে আগুন লেগেছে, সেখানে আগে গ্যাসের লাইন ছিল। বিল বকেয়া থাকায় হোটেলটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, আজ আনুমানিক ১২টার দিকে বিকট শব্দ শুনে বের হয়ে দেখেন ওই হোটেলে আগুন জ্বলছে। এরপর সেখান থেকে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।