রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সিজিপিএর শর্ত শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী বর্ষে যাওয়ার (প্রমোশন) সুযোগের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তাঁদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আবারও রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বেলা পৌনে একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। অবরোধের কারণে আজিমপুর থেকে সায়েন্সল্যাব ও সায়েন্সল্যাব থেকে আজিমপুর অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা সোয়া একটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। তাঁরা শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণায় অটল থাকেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র ওসমান গণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে আমরা দেখা করেছিলাম। তিনি এ পর্যন্ত ১৯ বার আশ্বাস দিলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গেও কয়েকবার কথা বলেছি। সেখানেও কোনো সমাধান পাইনি। দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি।’
বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষক খায়রুল হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নীলক্ষেত মোড়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছ থেকে দাবির বিষয়ে কোনো আশ্বাস না পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ চালিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে আজকের মতো কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে রাস্তা ছেড়ে দেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামীকালের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আবারও রাস্তায় নামবেন তাঁরা।