ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই খ্রিষ্টীয় নববর্ষের রাতে রাজধানীতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো হয়েছে।
খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাসহ ১৪ দফা নির্দেশনা জারি করেছিলেন ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান। গত শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফানুস ওড়াতে দেখা যায়। সমানে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়।
রাজধানীর গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা, মগবাজার, মহাখালী, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে তাঁরা মাঝেমধ্যে পটকা ফোটানোর শব্দ পাচ্ছিলেন। দিবাগত রাত ১২টার কাছাকাছি সময় তা বেড়ে যায়। কোনো কোনো এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়।
কয়েকটি এলাকার বাসাবাড়ির ছাদ ও ফাঁকা জায়গা থেকে ফানুস ওড়াতে দেখার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা মো. পলাশ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছরই আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশ। কিন্তু প্রতিবারই তা অমান্য করেন অনেকে। পুলিশ মুখে কঠোরতা দেখায় কিন্তু বাস্তবে এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
প্রথম আলোর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, গতকাল রাতে পুরান ঢাকায় হাজারো আতশবাজি ও ফটকা ফোটানো হয়েছে। অনেকে উড়িয়েছেন ফানুস।
পুরান ঢাকায় রাতে আতশবাজি ও ফটকা ফোটানোয় বিরক্ত হয়ে কামরুজ্জামান রেজা নামের এক শিক্ষার্থী তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৩০ মিনিট যাবৎ মনে হচ্ছে কোনো যুদ্ধ ক্ষেত্রে আছি!’
লক্ষ্মীবাজার এলাকায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনে হয়েছিল, এবার আতশবাজি ও ফটকা ফোটানো হবে না। তবে বাস্তবে তা হয়নি।’