মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে আমদানি করা এলএনজিবাহী জাহাজ। মাতারবাড়ীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে
মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে আমদানি করা এলএনজিবাহী জাহাজ। মাতারবাড়ীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে

ব্রুনেই থেকে এলএনজি ও ডিজেল আমদানির উদ্যোগ

ব্রুনেই থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও ডিজেল আমদানির জন্য চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে জ্বালানি সহায়তায় দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে দুই দেশের মন্ত্রিপর্যায়ে একটি বৈঠক হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দুই দেশের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ব্রুনেই থেকে বছরে এক থেকে দেড় মেট্রিক টন এলএনজি আনা হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের শুরু থেকেই এই জ্বালানি পাওয়া যাবে। এ জন্য ১০ থেকে ১৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হতে পারে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনেই থেকে বিলম্বে বিল পরিশোধের শর্তে বছরে গড়ে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন করে চুক্তি করতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে সম্মত হয়েছে ব্রুনেই।

জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নসরুল হামিদ এবং ব্রুনেইয়ের পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্বালানিবিষয়ক উপমন্ত্রী ইয়ং মুলিয়া দাতো সেরি পাদুকা আয়ং হাজি মাতসাটেজা বিন সোকাইয়া নেতৃত্ব দেন। এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জ্বালানিবিষয়ক স্থায়ী সচিব ইয়ং মুলিয়া আযহার বিন হাজী ইয়ায়া, জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন ইজমি, পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষের পরিচালক আড্রিয়াম ওয়াং কাই মিং, জ্বালানি অংশীদারত্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাজি মো. জাকি বিন হাজি হাসানুল আস–সারি।

বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরী ও ব্রুনেইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা।

গত ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ব্রুনেইয়ের মধ্যে এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম সরবরাহে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্রুনেই থেকে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে মোট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পরে আর আমদানি করা সম্ভব হয়নি।