নগরের মানুষের কাছে বাংলার লোক–ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রয়াস নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনের পৌষ মেলা। বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে ওয়াইজঘাটে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই আয়োজন শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার সকালে।
মেলায় দেখা যায়, বিভিন্ন জেলার নামে বসেছে পিঠার স্টল। দেশের নানা প্রান্তের ঐতিহ্যবাহী পিঠার পাশাপাশি আচার ও ঘরে তৈরি খাবারও আছে সেখানে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই এসেছেন মেলায়।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ‘পৌষ মেলাসহ যেসব উৎসব যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ছিল, সেগুলো আমরা ভুলতে বসেছি। সেসব ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের সবারই দায়িত্ব ইতিহাস বিকৃতিকে রোধ করা।’ পৌষ মেলা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি বড় পদক্ষেপ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবং পৌষ মেলা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ এটি। এটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র। পৌষ মেলা আদিকাল থেকেই আমাদের প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে।’
বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং মেলা উদ্যাপন পরিষদের সমন্বয়ক মানজার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু, মেলা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়সহ অন্যরা।
শীতের নানা রকম পিঠার স্বাদ উপভোগের সুযোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য এ মেলায় থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লোকায়ত জীবননির্ভর সংযাত্রা, যাত্রাপালা, নৃত্য-গীত ও কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। সকাল নয়টায় শুরু হয়ে মেলা চলছে রাত নয়টা পর্যন্ত। ২৮ জানুয়ারি রাতে শেষ হবে পৌষ মেলা–১৪৩০।