পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে যানজট ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ১৫ ধরনের ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সম্প্রতি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রমজান মাসে রাস্তায় মানুষের চলাচল বাড়ে। মানুষ যেন যানজট ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারেন, সে জন্য ১৫ ধরনের নির্দেশনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীতে দূরপাল্লা ও আন্তজেলা বাস টার্মিনালের কোনো বাস সড়কে রেখে বা থামিয়ে যাত্রী উঠাতে পারবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় যাতে বাসে উঠতে পারেন, তা সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের খেয়াল রাখতে হবে।
মহানগরীতে টার্মিনাল–সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে বাসগুলো দাঁড়াতে পারবে না। অযাচিত যানজট এড়াতে মহানগরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে যানবাহনগুলোকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনেগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে বিরত থাকতে হবে। আন্তজেলা পরিবহনের যাত্রীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা না করে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।
কোনো বাসের যদি দূরপাল্লায় বা নির্দিষ্ট রুটে চলাচলের অনুমোদন না থাকে, তাহলে বাসটি সেসব রুটে চলাচল করতে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাসের ভেতরে যাত্রীদের অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রাখা এবং মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখার কথাও।
এ ছাড়া ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো যানবাহনের ছাদে যাত্রী বহন করা যাবে না। যাত্রী তুলতে গিয়ে বাসচালকেরা এমন কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না, যাতে সড়কে বিশৃঙ্খলা হয় এবং প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রমজানের সময় সকালে অফিসগামী ব্যক্তিরা হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হবেন। ইফতারের আগমুহূর্তে বাসার উদ্দেশে রওনা না দিয়ে পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখবেন। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাসসহ অন্য যানবাহন ব্যবহার না করে হেঁটে চলাচল করবেন।