বিচারহীনতায় গৃহশ্রমিক হত্যা-নির্যাতন বাড়ছে

‘বিশ্ব শোভন কাজ দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন
ছবি: আশিকুজ্জামান

গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। বিচারহীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘বিশ্ব শোভন কাজ দিবস ২০২২’ উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক। দিবসটি উপলক্ষে তারা শোভাযাত্রাও করে।

মানববন্ধনে বলা হয়, গত ৬ মাসে ১৬ জন গৃহশ্রমিক হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সংবাদপত্র পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই পর্যালোচনা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে গৃহশ্রমিকের মৃত্যু-নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন বলেন, বিচারহীনতার কারণে অপরাধীরা বারবার একই কাজ করার সাহস পায়। যদি প্রতিটি ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে আর কেউ গৃহশ্রমিকদের নির্যাতনের সাহস দেখাত না।

মানববন্ধনে বক্তারা আইএলও কনভেনশন-১৮৯ অনুসমর্থন, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ বাস্তবায়ন, শ্রম আইনে গৃহশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা, গৃহশ্রমিকদের মামলায় সরকারিভাবে আইনি সহায়তা প্রদান, সব গৃহশ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা, নির্যাতনে নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের ন্যায়সংগত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসাব্যয় নিয়োগকারী কর্তৃক বহন করা, নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের স্থায়ী পুনর্বাসন, গৃহশ্রমিকদের নির্যাতন থেকে রক্ষা ও প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ে নিবন্ধন-পরিদর্শন কার্যক্রম চালুর দাবি জানান।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন আবুল হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদসহ বিলস ও নেটওয়ার্কভুক্ত সংগঠনের নেতারা।