সড়কের জায়গা দখল করে বানানো ছয়টি ভবনের অবৈধ অংশ এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়
সড়কের জায়গা দখল করে বানানো ছয়টি ভবনের অবৈধ অংশ এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়

ঢাকা উত্তর সিটি

সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ৬টি বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হলো

রাস্তার জায়গা দখলে নিয়ে বানানো ছয়টি বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর দক্ষিণখানের জামতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালান। অভিযানে রেলওয়ের জায়গায় থাকা আরও ২৫টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

বেলা আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়রের উপস্থিতিতে জামতলার জালাল উদ্দীন আহমেদ সরণির একটি অংশে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই সড়কের জায়গা দখল করে বানানো ছয়টি ভবনের অবৈধ অংশ এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এখন সড়কটির ওই অংশের আধা কিলোমিটারে ২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করা যাবে। ইতিমধ্যে সড়কের ওই অংশে পানিনিষ্কাশন নালার কাজ শেষ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জামতলা থেকে উত্তরে আজমপুরের দিকে রেললাইনের পাশের রাস্তায় থাকা ২৫টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। দোকানগুলো রাস্তার পাশে রেলওয়ের জায়গা দখল করে বানানো হয়েছিল। এতে আরও প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।

অভিযানে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণখান ও উত্তরখান এলাকার দুটি প্রধান সমস্যা রয়েছে, একটি সরু রাস্তা, অন্যটি জলাবদ্ধতা। এলাকাবাসীর দাবি, যেন দ্রুত এই দুটি সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত করতে ভবনমালিকেরা জায়গা ছাড়ছেন না। জলাবদ্ধতা দূর করতে নালা নির্মাণও করা যাচ্ছে না।

সড়কের জায়গা দখল করে বানানো ছয়টি ভবনের অবৈধ অংশ এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়

মেয়র বলেন, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) থেকে যখন অনুমোদন নিয়েছে, তখন প্রতিটি রাস্তা ২০ ফুট প্রশস্ত দেখানো হয়েছে। কিন্তু ভবন নির্মাণের সময় বেশির ভাগই আবার রাস্তা দখল করে নির্মাণ করেছে। রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে এগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।

দখলদারদের হুঁশিয়ার করে মেয়র বলেন, ‘গত সপ্তাহে তিন দিন এই এলাকা পরিদর্শন করেছি। বলেছিলাম অবৈধ দখল সরিয়ে নিন। ৯ জুনের পর উচ্ছেদ অভিযান করব। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা অংশ ভেঙে নিতে আহ্বান জানালেও সরানো হয়নি। তাই আজকে অভিযান চালিয়ে ভাঙা হচ্ছে।’

অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। এতে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।