মিছিলে বাধা দেওয়ার সময় জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। রোববার সকালে প্রেসক্লাব এলাকায়
মিছিলে বাধা দেওয়ার সময় জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। রোববার সকালে প্রেসক্লাব এলাকায়

বাম জোটের নির্বাচন কমিশন অভিমুখী মিছিলে পুলিশের বাধা

রাজধানীতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যাচ্ছিলেন জোটের নেতা-কর্মীরা। রোববার সকালে প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন ও সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। প্রেসক্লাব এলাকায় কদম ফোয়ারার মোড়ে এলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ।  

বাম জোট বলছে, মিছিলে বাধা দেওয়ার সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ মারমুখী আচরণও করে। পুলিশের বাধার মুখে নেতা-কর্মীরা সড়কেই বসে অবস্থান নেন ও সেখানে সমাবেশ করেন। বাম জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবীরের সভাপতিত্বে জোট নেতারা এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন।

শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের এমন বাধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে এর বিরুদ্ধে জনগণের রায় ঘোষণা করতে হবে। প্রহসন ও ভাগাভাগির নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী না হতে প্রার্থীদের প্রতি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বানও জানান তাঁরা।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে বাম জোটের নেতারা বলেন, প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করায় জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা সংবিধানবিরোধী ও জরুরি আইন জারির শামিল উল্লেখ করে এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।

বাম নেতারা বলেন, দেশ এক সংকটের মধ্যে আছে। তামাশার নির্বাচন হলে এই সংকট বাড়বে। বিদেশের আধিপত্য দেশকে নতুন সংকটে ফেলতে চাইবে। এর দায় নিতে হবে সরকারকেই। তাঁরা অবিলম্বে আসন্ন নির্বাচনের এ তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি করেছেন।

বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।