ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান গত ২৬ মে চিঠিটি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সিটির আওতাধীন হাসপাতালগুলোতে সারা দেশের ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা ঢাকায় বসবাসরত আত্মীয়স্বজনের ঠিকানা ব্যবহার করেন। এসব রোগীকে ঢালাওভাবে ঢাকা দক্ষিণের রোগী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। এতে তাঁদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু রোগীর বাসস্থানের ৩০০ গজের মধ্যে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়। পাশাপাশি ওই এলাকায় চিরুনি অভিযানও পরিচালনা করে দক্ষিণ সিটি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণকক্ষের তালিকা পর্যালোচনা করে বেশ কিছু ভুল এবং অসংগতিপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে সিটি করপোরেশনের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা ওই সব ঠিকানায় গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। এতে তাঁদের স্বাভাবিক কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে প্রচারিত নিয়মিত ডেঙ্গু রোগীসম্পর্কিত প্রতিবেদনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক, পরিপূর্ণ তথ্য–উপাত্তসহ তালিকা দিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠির জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কী বলেছে, তা জানতে চেয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানকে কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। সন্ধ্যার পরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির চিঠির বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি। পরে প্রশ্ন লিখে খুদে বার্তা পাঠালেও জবাব দেননি তিনি।