রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। গতকাল বুধবারও ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও যারা জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন, সেই সব ব্যক্তিদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পানি ছিটানো হচ্ছে ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে থাকা গাছপালাতেও।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কে গিয়ে সংস্থাটির কর্মীদের পানি ছিটাতে দেখা গেছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিএনসিসির একটি স্প্রে-ক্যানন দিয়ে আগারগাঁও, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০ নম্বর সেকশন এলাকায় শ্যামলী আগারগাঁও লিংক রোড ও বেগম রোকেয়া সরণিতে পানি ছিটাতে দেখা যায়।
মিরপুর পীরেরবাগের বাসিন্দা সায়েম হোসেন বলেন, পানি দেওয়ার কারণে রাস্তার গরম সাময়িকভাবে কিছুটা হলেও কমে যায়। তাই সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগ কিছুটা সময় হলেও সড়কে থাকা মানুষদের স্বস্তি দিচ্ছে।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটিতে পানি ছিটানোর দুই ধরনের ১২টি ভারী যন্ত্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২টি হচ্ছে স্প্রে-ক্যানন। আর ১০টি হচ্ছে ওয়াটার বাউজার।
প্রতিটি স্প্রে-ক্যানন ১৫ হাজার লিটার পানি ধারণ করতে পারে। একবার পানি ভরলে একটি স্প্রে-ক্যানন দিয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক এলাকায় পানি ছিটানো যায়। আর ১০টি ওয়াটার বাউজারের প্রতিটিতে ১০ হাজার লিটার করে পানি ভরা যায়। এই হিসেবে প্রতি দিন প্রায় ১ লাখ লিটার পানি সড়কে ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি।
ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, স্প্রে-ক্যানন দিয়ে অনেকটা কৃত্রিম বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে পানি ছিটানো হয়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পান।
তিনি আরও বলেন, মূলত শীত মৌসুমে সড়কের ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণে এসব যন্ত্র দিয়ে পানি ছিটানোর কাজ করা হয়। এখন তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় মেয়রের নির্দেশে এসব যন্ত্র দিয়ে সড়কে পানি ছিটানো হচ্ছে। নিয়ম করে একেক দিন একেক এলাকার সড়কে পানি ছিটানো হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।