রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশের একটি দল বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান শুরু করেছে।
পুলিশের একটি দল বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। এরপরই কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আজ বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনার পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর পুলিশের এ গুলি চালানো সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাঁদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা করেন।
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সামনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য তারা অনুমতিও চেয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। এতে অবশ্য বিএনপি রাজি নয়। তারা সোহরাওয়ার্দীর একটি বিকল্প স্থান চায়।’