ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী পশুর হাটে ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব হাট থেকে গরু কেনার পর ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করা যাবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে গুলশান–২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সম্মেলনকক্ষে ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, স্মার্ট হচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি তাদের আওতাধীন ৯টি পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া/ফাটা নোটসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হবে। ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পর থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা রক্ষা পাবেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বসানো বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি পজ মেশিন ব্যবহার করে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে নগদ অর্থ তুলে কেনা গরুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এ পদ্ধতিতে।
ঢাকা উত্তর সিটিতে অস্থায়ী ও স্থায়ী মোট ৯টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে যে ছয়টি হাটে ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে, সেই হাটগুলো হলো উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর তৎসংলগ্ন পর্যন্ত খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তৎসংলগ্ন পর্যন্ত খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড নং-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, ভাটারা সুতিভোলা খালসংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), মোহাম্মদপুর বছিলাস্থিত ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা এবং মিরপুর গাবতলী গবাদিপশুর হাট।
ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, পশুর ছয়টি হাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক পিএলসি। এসব ব্যাংকের বুথ থেকে মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স, ভিসা কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যাবে। এ ছাড়া বিকাশ, নগদের মাধ্যমেও টাকা লেনদেন করা যাবে।
২০২২ সালে উত্তর সিটির কোরবানির পশুর হাটে ৩৫ কোটি টাকার বেশি ক্যাশলেস লেনদেন হয়েছিল। পরের বছর ২০২৩ সালে ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়।