মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে তাঁদের আটক করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাতে মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সাঈদীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া বিএসএমএমইউর অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামান প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আটক দুজনের মধ্যে রাজধানীর উত্তরা থেকে হাফিজা মাহবুবা ওরফে বৃষ্টিকে (৩২) আটক করে পুলিশ। আর তাফসিরুল ইসলামকে (২৩) ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে আটক করেছে র্যাব।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ক্রাইমের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান তাঁদের আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাঈদীকে চিকিৎসা দেওয়া বিএসএমএমইউর অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তিনি গতকাল রাতে ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন। সিটিটিসি সেই জিডির তদন্ত করতে গিয়ে হুমকির ঘটনায় হাফিজা মাহবুবার সম্পৃক্ততা পেয়েছে।
জিডির বরাত দিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, মোস্তফা জামান বিএসএমএমইউর হৃদ্রোগ বিভাগের অধ্যাপক। গত রোববার রাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বিএসএমএমইউর হৃদ্রোগ বিভাগের চেয়ারম্যান চৌধুরী মেশকাত আহমেদের অধীন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরদিন সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদী মারা যান। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের একজন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক মোস্তফা জামান তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবের বিভিন্ন আইডি থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি কতিপয় ব্যক্তির এমন আচরণে শঙ্কিত।
এদিকে অধ্যাপক জামান ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পরও একাধিক মুঠোফোন নম্বর থেকে হুমকি আসে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, হুমকিতে ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন নম্বরের ব্যবহারকারী তাফসিরুল ইসলামকে গতকাল রাত ৯টার পর ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়, তাফসিরুলকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় আনা হচ্ছে। বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।