রাজধানীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। ঢাকা, ১২ অক্টোবর
রাজধানীতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। ঢাকা, ১২ অক্টোবর

জাতীয় নাগরিক কমিটির কাছে শঙ্কার কথা জানালেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ

শারদীয় দুর্গাপূজার নবমীর দিনে রাজধানীর চারটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা গতকাল শুক্রবার পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের পূজামণ্ডপে ‘পেট্রলবোমা’ নিক্ষেপ ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। কমিটির নেতারা এ সময় তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ওয়ারীর রবিদাস পাড়ায় শ্রীশ্রী গুরু রবিদাস জিউ মন্দির প্রাঙ্গণের পূজামণ্ডপ, দয়াগঞ্জে তেলেগু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ, ডেমরার ডগাইর দুর্গামন্দির এবং ধলপুরের তেলেগু পাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিনসহ অন্য সদস্যরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন।

পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওয়ারীর রবিদাস পাড়ার পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় রবিদাস সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। এ সময় রবিদাস সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের কাছে নিজেদের নানা দুর্ভোগ ও দুর্দশার কথা বলেন।

নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এবার পূজা উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হয়েছে। গতকাল তাঁতীবাজারে একটি নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। এর পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

পরে অন্য তিন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। আহ্বায়ক ও মুখপাত্র ছাড়া এ সময় কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার, আরিফুল ইসলাম, মনিরা শারমিন, সাইফ মুস্তাফিজ, এস এম শাহরিয়ার, মাজহারুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, সালেহউদ্দিন সিফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আমাদের বলেছেন, গতকাল পর্যন্ত পূজা উৎসবমুখর ছিল। কিন্তু পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের ঘটনা তাঁদের শঙ্কিত করেছে। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও সক্রিয় আছে। আমরা ডেমরা থানার ওসি ছাড়াও মণ্ডপগুলোতে দায়িত্বরত সেনাসদস্য, র‍্যাব ও আনসারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে তাঁরা প্রস্তুত আছেন।’