যানজট
যানজট

যানজটে রাজধানীর সড়কে অচলাবস্থা

রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে সকাল সোয়া নয়টায় বের হয়েছিলেন চাকরিজীবী আহমেদ সিরাজী। তাঁর কর্মস্থল কারওয়ান বাজার। আধা ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে ছিলেন আজমপুরে। সেখান থেকে যানজট পেরিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে আবার নতুন যানজটে পড়েন তেজগাঁওয়ে। কিন্তু অফিসে আসার জন্য কোনো যানবাহনে চড়ার সাহস না করে হেঁটেই আসেন অফিসে। টানা পৌনে দুই ঘণ্টা লাগে আসতে।

আহমেদ সিরাজীর মতো আজ সোমবার সকালের দিকে এমন অভিজ্ঞতা অনেক নগরবাসীর। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজ তীব্র যানজট। ট্রাফিক পুলিশ সূত্র বলছে, ঢাকার সড়কে একধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার সার্ক ফোয়ারা, বাংলামোটর, তেজগাঁও, সিদ্ধেশ্বরী, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেছেন, ‘অনেকেই নানা দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমরা “যমুনার” সামনে কাউতে বসতে দিইনি। তাই নগরের বিভিন্ন স্থানে আজ খণ্ড খণ্ড আকারে বসে আছেন অনেকেই।’

শাহবাগ বা রমনার দিকে রাস্তায় বসে গেলে যানজট বেড়ে যায় আশপাশের সড়কেও। আজও তেমনটাই হয়েছে বলে জানান মো. মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, রমনার আশপাশে, মতিঝিলসহ বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে যানজট। পুরো সড়কে তো আর যানবাহন চলতে পারছে না। তাই একধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল রোববার থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোপুরিভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সড়কে নেমে এসেছেন নানা পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণেই যানজট বেশি বলে মনে করেন মো. মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, এসবের সুরাহা না হলে যানজট কমার সম্ভাবনা কম।