ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর ৭ থানায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৫৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের বেশির ভাগই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা–কর্মী।
বিস্ফোরক উদ্ধার, বাস পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এসব মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোর বাদী পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেছেন, এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তার ১৪৯ জন।
গতকাল সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গতকাল মাতুয়াইলে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কদমতলী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, সেখানে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বাস পোড়ানোর ঘটনায় করা একটি মামলায় ৬১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুম্মন হোসেনসহ ১০৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় ওই ১০৯ জনকেই আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র আরও জানায়, উত্তরায় গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা দুটি করা হয়েছে।
একটি মামলায় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সরকারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে।
গতকাল ধোলাইখাল এলাকায় সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বংশাল থানায়। সেখানে আসামি করা হয়েছে ২৫ জনকে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় মোট মামলা হয়েছে তিনটি। এই তিনটি মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১০০ জনকে।
গত শুক্রবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করে দলটি। সেই মহাসমাবেশ থেকে গতকাল শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোয় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা–কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।