মেট্রোরেলে চড়ে দারুণ খুশি স্কুলছাত্রী রেহনুমা

স্কুলছাত্রী রেহনুমা আহমেদ
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীতে মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে গণপরিবহনব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হলো। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে চড়েন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্ধারিত সংখ্যক অতিথিও ছিলেন।

সেই অতিথির তালিকায় কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীও ছিল। তাদের মধ্যে একজন পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রেহনুমা আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে সে–ও দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনে আসে। নামার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দারুণ খুশি রেহনুমা বলল, ‘বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে চড়তে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি খুব খুশি।’

বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ি স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন। এর আগে তিনি মেট্রোরেলের টিকিট (কার্ড) কেনেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও টিকিট কেনেন।

মেট্রোরেলকে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার আরেকটি পালক হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।’ মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দুপুরে দিয়াবাড়িতে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।