রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণ সেখানে জমে থাকা গ্যাস থেকে হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। এই দলের সদস্যরা দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই অভিমত দিয়েছেন।
তবে এর আগে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রহমত উল্লাহ বলেছিলেন, স্যুয়ারেজ লাইনে জমে থাকা গ্যাস থেকে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে।
তার আগে ফায়ার সার্ভিস বলেছিল, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (এসি) বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগতে পারে।
আজ রোববার বেলা ১১টার কিছু আগে তিনতলা ওই ভবনে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহত ও দগ্ধ ১৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, ভবনটির তিনতলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবন থেকে ইট ও জানালার কাচ উড়ে গিয়ে রাস্তা ও আশপাশের এলাকায় পড়েছে। তিনতলা ওই ভবনে বেশির ভাগই কাপড়ের দোকান ছিল। আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন রয়েছে। সেখান থেকে মানুষ আতঙ্কে নিচে নেমে আসে।
ভবনের তৃতীয় তলায় নিউ জেনারেশন, লায়রা প্রোডাক্ট, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। নিহত তিনজনই লায়রা প্রোডাক্টের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিকেলে সিটিটিসি জানিয়েছে, তাদের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে সেখানে গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছেন। কোনো আবদ্ধ জায়গায় স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ঘনত্বের গ্যাস থাকলে বৈদ্যুতিক সুইচ, শর্টসার্কিট, দেশলাই বা লাইটারসহ এ ধরনের যেকোনো কিছু থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা মনে করছেন, ভবনের তৃতীয় তলার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের কার্যালয় থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছে।
বিস্ফোরণের তীব্রতা ও ব্যাপকতা পর্যালোচনায় সিটিটিসির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকা গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তাঁদের মনে হয়েছে।