ছাত্রলীগের তিন নেতাকে এডিসি হারুন অর রশিদের মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেখতে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার দুঃখ প্রকাশ করেন।
ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেদিন থানায় যা ঘটেছে, সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাঈম (আনোয়ার হোসেন) আহত হয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খবর নিতে সহকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। এখনো তিনি (আনোয়ার) বেশ অসুস্থ। সুস্থ হতে আরও একটু সময় লাগবে।’
মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এডিসি হারুন অর রশিদকে সরকার সাময়িক বরখাস্ত করেছে। মারধরের ঘটনায় জড়িত আরেকজন কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁদের বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তদন্ত কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কমিটি সার্বিক ঘটনার তদন্ত করবে। কার কতটুকু দোষ, কে গিয়েছিল, কেন গিয়েছিল, সেটা তো পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না।
আমরা আপাতদৃষ্টে দেখেছি, একজন ছাত্রকে থানার ভেতরে মারধর করা হয়েছে, যেটা বেআইনি। এ কারণে আমরা অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নিয়েছি। ঘটনাটি কেন ঘটল, ঘটনায় কে কে দোষী, কতটুকু দোষী—সবই নিরূপণ করবে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুসারে আমরা ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বলব।’
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। এ ঘটনায় রোববার হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করে।
এদিকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য গত রোববারই ডিএমপি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ডিএমপি প্রধান কার্যালয়ের উপকমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফকে প্রধান করে গঠিত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের এডিসি শাহেন শাহ্ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এডিসি রফিকুল ইসলাম।