কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীর চাপ, কিছু ট্রেনও ছাড়ছে দেরিতে

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার পর রাজধানী ও আশপাশের কিছু জেলার বেশ কিছু তৈরি পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হয়েছে। এরপরই এসব কারখানার শ্রমিকেরা বাড়ির উদ্দেশে বের হন। অনেকেই বেছে নেন রেলপথ। ঈদযাত্রার সেই চাপের কিছুটা পড়ে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ঈদযাত্রার ষষ্ঠ দিন আজ সোমবার রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এমন চিত্র দেখা যায়। তবে কিছু ট্রেন দেরিতে ছেড়ে গেছে।

সরেজমিনে রাত ৮টার দিকে দেখা যায়, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশপথে মানুষের ভিড়। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশন চত্বরেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা ভেতরে গিয়ে স্ট্যান্ডিং (দাঁড়িয়ে যাওয়ার) টিকিট কাটবেন বললেও দায়িত্বরতরা বলছিলেন স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও ভিড়ের মধ্যে অনেকেই টিকিট ছাড়াই প্রবেশ করে যাচ্ছিলেন স্টেশন চত্বরে, আবার অনেকে তা পারছিলেন না।

টিকিট না থাকায় স্টেশন চত্বরের বাইরে অবস্থান করছিলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও যাওয়ার জন্য আসা রুবেল মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গফরগাঁও যাব। কিন্তু টিকিট না থাকায় ভেতরেই যেতে দিচ্ছে না। ভেতরে গিয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটব। কিন্তু ওরা বলছে, স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।’

এরপর স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে। স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য দীর্ঘ সারি। সেখানে জামালপুরের যাত্রী মো. রোকন নামের একজন বলেন, পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে স্ট্যান্ডিং টিকিট পেলাম।

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ভেতরেও মানুষের ভিড়। যাত্রীরা জানান, তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় এবং কিছু ট্রেন ছাড়তে দেরি করায় প্ল্যাটফর্মে ভিড় বেড়েছে।

নারায়ণগঞ্জের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন রংপুরের আমিনুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে প্ল্যাটফর্মে কথা হয়। তিনি জানান, আজ বিকেল ৫টায় কারখানা ছুটি হয়েছে। তারপর নারায়ণগঞ্জ থেকে কমলাপুর আসেন ট্রেন ধরার জন্য।

আসন না পেয়ে অনেক দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে

প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডে দেখা যায়, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও ভাওয়াল এক্সপ্রেস নামের তিনটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেড়ে যায়নি। এর মধ্যে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্ল্যাটফর্মেই এসে দাঁড়ায়নি।

আজ সকালের দিকে ভোর ৪টা ৪০ মিনিট থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছাড়ে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

আজ কতগুলো ট্রেন ছেড়েছে এবং এর মধ্যে কয়েকটি দেরি করেছে—মুঠোফোনে এ ধরনের প্রশ্ন করতেই কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার প্রথম আলোকে জানান, যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ। তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।