ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আজ, সভাপতি পদে নীল দলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২৩ সালের কার্যকর পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ভবনে এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। পৃথক প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ দুই প্যানেলের বাইরে সমিতির সভাপতি পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। আওয়ামীপন্থী ওই শিক্ষককে নীল দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বলা হচ্ছে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কার্যকর পরিষদের ১৫টি পদে এ নির্বাচন হয়। প্রায় এক যুগ ধরে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়ে আসছে নীল দল। সর্বশেষ নির্বাচনেও ১৫টি পদের মধ্যে ১৪টিতেই জয় পান আওয়ামীপন্থীরা।

নীল দলের প্যানেল থেকে এবার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক জিনাত হুদা। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল, যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আবু খালেদ মো. খাদেমুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়া ১০টি সদস্যপদের জন্য নীল দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. আমজাদ আলী, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আক্কাছ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক শরিফ আখতারুজ্জামান এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শারমিন মূসা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এই নির্বাচনে সাদা দলের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক পদে মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেবাশীষ পাল এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১০টি সদস্যপদে সাদা দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মামুন আহমেদ, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাফী মো. মোস্তফা, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল করিম, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল আলম এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম।

নীল ও সাদা—এই দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের আহ্বায়ক। নীল দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে সভাপতি পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক জামাল।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পরিচালক ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রথম আলোকে বলেন, নীল ও সাদা দলের প্যানেলের বাইরে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ভবনে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। গণনা শেষে বিকেলেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।