সোমবার বিকেলে কয়েক শ লোক দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় বলে অভিযোগ বাড়ির মালিকের
সোমবার বিকেলে কয়েক শ লোক দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় বলে অভিযোগ বাড়ির মালিকের

হারুনের তুলে নেওয়া সেই আইনজীবীর বাড়িতে আবার হামলা

রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় ৯২ শতাংশ জমিসহ একটি বাড়ি দখলে নিতে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়িটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে হামলা চালিয়ে বাড়িটি দখলের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ আছে।

বাড়িটির মালিক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আজহারুল ইসলাম। হারুন অর রশীদ ডিবির দায়িত্বে থাকাকালে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক আজহারুল এবং তাঁর আইনজীবী ছেলে সৈয়দ ইজাজ কবিরকে ছিনতাইয়ের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁদের।

বুধবার সন্ধ্যায় আজহারুল ইসলামের ছেলে ইজাজ কবির প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক শ লোক দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁদের বাড়িটিতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় বাড়ির দুটি ফটক ও আসবাব। লুট করা হয় লাইসেন্স করা শটগানও। এ সময় বাড়ির সদস্যদের থেকে মুঠোফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। ইজাজ কবির এ হামলার জন্য মুসলিম বিল্ডার্স নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুল্লাহকে দায়ী করেন।
ইজাজ কবিরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনসহ একাধিক মাধ্যমে মুসলিম বিল্ডার্সের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।

২০১১ সালে ওই জমিতে ভবন নির্মাণে মুসলিম বিল্ডার্সের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয় উল্লেখ করে ইজাজ কবির বলেন, চুক্তির শর্ত না মানায় তাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এরপর থেকে তারা জমি দখলের চেষ্টা করছে। ইজাজ কবিরের অভিযোগ, হারুন অর রশীদ ডিবির দায়িত্বে থাকাকালে তাঁকে ও তাঁর বাবাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাত একটার দিকে হারুন অর রশীদ তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।

ইজাজ কবির বলেন, ‘রিমান্ডে নিয়ে হারুন অর রশীদ মুসলিম বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে আমাদের অসম্ভব মানসিক নির্যাতন করেন। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ডিবিতে তাঁর কক্ষে নিয়ে আমাদের মামলা প্রত্যাহার করতে চাপ দিতে থাকেন। তখন হারুন অর রশীদের নির্দেশে আমার স্ত্রী, বোন ও বোনজামাইয়ের বিরুদ্ধেও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।’