কোথা থেকে কীভাবে ইট বা কংক্রিটের টুকরা ব্যাংক কর্মকর্তা দীপু সানার মাথায় পড়েছে, সে বিষয়ে তিন দিনেও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের ধারণা, মালিবাগ–মগবাজার উড়ালসড়ক থেকে টুকরাটি দীপুর মাথায় পড়ে।
খুলনার মেয়ে দীপু সানা বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখার সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১০ জানুয়ারি বিকেলে কর্মস্থল থেকে অফিসের বাসে রওনা দিয়ে শান্তিনগরে নামেন তিনি। এরপর হেঁটে মগবাজারের গাবতলার বাসায় ফিরছিলেন। মৌচাক উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে হেঁটে আসার সময় ফখরুদ্দিন রেস্টুরেন্টের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে তাঁর মাথার ওপর ইট পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
দীপুর মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন তাঁর স্বামী তরুণ কুমার বিশ্বাস। মামলাটি রমনা থানার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ছায়া তদন্ত করছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডিএমপি সদর দপ্তরের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে রমনা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সালমান ফার্সী ও রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া ও ডিবি রমনা বিভাগের একটি দল উপস্থিত ছিল। সেখানে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা এক ঘণ্টার বেশি সেখানে অবস্থান করেন।
আজ রাতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজে দেখা যায় দীপু সানা সিদ্বেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের উল্টো দিকের উড়ালসড়কের নিচ ধরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ ওপর থেকে একটি কংক্রিটের খণ্ড তাঁর মাথায় পড়লে তিনি লুটিয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উড়ালসড়কের ওপর থেকে কংক্রিটের খণ্ডটি দীপু সানার মাথায় পড়ে।
কংক্রিটের খণ্ডটি উড়ালসড়কের ওপর চলাচলকারী কংক্রিট–ভর্তি কোনো ট্রাক থেকে বা অন্য কীভাবে পড়ল, তা নিশ্চিত হতে আশপাশের উঁচু ভবনে লাগানো সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টসহ বহুতল ভবন রয়েছে।