দেশের বর্তমান সাংস্কৃতিক সংকট থেকে উত্তরণে সব স্তরের প্রচেষ্টা প্রয়োজন। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, সারা দেশজুড়ে সংস্কৃতিমুখী শিক্ষার চর্চা বাড়াতে হবে। তবেই সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হবে ভেতর থেকে। তাই সংস্কৃতির সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সংস্কৃতি নিয়ে সমন্বিত শিক্ষার।
শুক্রবার সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানটে ‘সংস্কৃতিবিষয়ক বক্তৃতামালা’য় বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সন্জীদা খাতুনের বক্তব্যে উঠে এল এসব কথা। এদিন দুপুরে ‘আমাদের সময়, আমাদের সংস্কৃতি’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয় ছায়ানটের সংস্কৃতিবিষয়ক বক্তৃতামালার ত্রৈমাসিক এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন শৈশবের স্মৃতিচারণা করে বলেন, তাঁর বাবা কাজী মোতাহার হোসেনের সংগীত অনুরাগ তাঁকে সঞ্জীবিত করেছে। নিজের সংগীতজীবন, পারিবারিক সাংস্কৃতিক আবহের কথাও বর্ণনা করেন তিনি। এ সময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়টিও তুলে ধরেন সন্জীদা খাতুন। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধনে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
কথামালার দ্বিতীয় পর্যায়ে দর্শকদের জন্য ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ সময় দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সংস্কৃতি-বিনাশী যেকোনো বিপর্যয়ে করণীয় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেন সন্জীদা খাতুন।
ছায়ানট থেকে জানানো হয়েছে, বাঙালির ঐতিহ্য অন্বেষণে নিয়মিত অনুশীলন, অধ্যয়ন, শ্রবণ—সেই সঙ্গে পারস্পরিক মতবিনিময়ের লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের একক কথামালা ‘আমাদের সময়, আমাদের সংস্কৃতি’ শিরোনামে এখন থেকে ত্রৈমাসিক এ আয়োজন করবে তারা।