ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা
ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

অবন্তিকার আত্মহত্যা

দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার তথ্য থাকলে, তা দিতে অনুরোধ তদন্ত কমিটির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি থাকলে, তা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রকৃত ঘটনা তুলে আনার স্বার্থে কারও কাছে সঠিক প্রমাণ থাকলে তা কমিটির আহ্বায়ককে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দিতে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

আজ সোমবার অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন। কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি থাকলে তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কাছে জমা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্তের কাজ শুরু করেছি। গতকাল রোববার ও আজ কমিটির সদস্যদের নিয়ে দুটি সভা হয়েছে।

আগামীকাল মঙ্গলবারও একটি সভা হবে। ঘটনায় সম্পৃক্ত সবার বক্তব্য জানার চেষ্টা করব এবং তথ্যপ্রমাণও সংগ্রহ করছি। পাশাপাশি কুমিল্লায় যাওয়ারও পরিকল্পনা আছে। সেখানে অবন্তিকার মায়ের সাক্ষাৎকার নেব। দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

দ্বীন ইসলাম

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। অবন্তিকার কয়েকজন বন্ধু বলেন, তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে এক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন ফাইরুজ।

শনিবার রাতে আটক হন অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। পরে কুমিল্লায় অবন্তিকার মায়ের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ অভিযোগ সম্পর্কে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে দ্বীন ইসলাম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি বলেন, ‘অবন্তিকার সঙ্গে আমার দেড় বছরের মতো যোগাযোগ নেই। শুধু ফেসবুকের স্ট্যাটাস দিয়ে কাউকে ভুল বুঝবেন না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদন্তের স্বার্থে সহযোগিতা করব।’