জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ অন্য অতিথিরা
ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নবনির্মিত জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার টাওয়ারটির উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন এবং টাওয়ারে স্থাপিত জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা মার্কেটপ্লেস পরিদর্শন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিল্পীরা নাচ ও গানে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছোট বোনকে স্বাগত জানান। পরে শিল্পীরা তাঁদের সঙ্গে ছবিও তোলেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে টাওয়ারের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, জয়িতা ব্র্যান্ডের অধীনে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগে সম্পৃক্ত করে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক ভৌত অবকাঠামো–সুবিধাসহ জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।

জয়িতা টাওয়ারে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত পণ্য, সাপ্লাই চেইন এবং সেবা বাজারজাত করার সুবিধা রয়েছে। ভবনটিতে জ্ঞান, দক্ষতা, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন কৌশলের ভিত্তিতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধাও রয়েছে।

এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের যথেষ্ট সুবিধা এবং প্রশস্ত লবি রয়েছে।

জয়িতা টাওয়ারের একটি স্টলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জয়িতা আইকনিক টাওয়ারে চাইল্ড ডে–কেয়ার সেন্টার, ডিজাইন সেন্টার, বিউটি পারলার, মহিলাদের জন্য জিমনেসিয়াম, মহিলা ও শিশুদের জন্য সুইমিং পুল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, ব্যাংক, ফুড কোর্ট এবং ক্যাফে রয়েছে। এ ছাড়া ই-জয়িতা অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ (পুরোনো) সড়কে ১ বিঘা জমিতে ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর আগে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর জয়িতা ফাউন্ডেশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এরই মধ্যে সরকার নামমাত্র মূল্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে এক বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছে।

বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় জয়িতার কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে জয়িতার কার্যক্রম চালু করা হয়।