বিজ্ঞানভিত্তিক জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যয় নিয়ে বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা উৎসবের জাতীয় পর্বের আয়োজন চলছে। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর শিশু একাডেমিতে এ উৎসবের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী ঘোষণা দেয় রোবট নাও। এর আগে অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, এ শিশুদের মধ্যেই ভবিষ্যতের বড় বিজ্ঞানী আছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের সুযোগ এখন অনেক বেশি। বিজ্ঞানচর্চা করতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে।
বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জীবনে এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া জরুরি।
অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমির মহাপরিচালক ও ছড়াকার আনজীর লিটন বলেন, শিশুদের সৃজনশীল বিকাশের সুযোগ করে দেয় এ ধরনের আয়োজন। স্মার্ট নাগরিক হতে গেলে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকানিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, সামনের দিনগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এবং তাতে এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার হচ্ছে এসব শিশু। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
উৎসবে বিভিন্ন স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। উৎসবে থাকবে প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও বিজ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতা। শুধু আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীরা এতে অংশ নিতে পারবে।
জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের জন্য থাকছে ল্যাপটপ, বই, বিজ্ঞান বাক্স, ট্রফি, মেডেল, সনদসহ আরও নানা পুরস্কার। এ ছাড়া দিনব্যাপী থাকবে রোবট প্রদর্শনী, বিজ্ঞান ম্যাজিক, পাপেট শো, প্রশ্নোত্তর পর্ব, তারকাকথন, সাংস্কৃতিক পর্বসহ আরও অনেক আয়োজন।
সারা দেশের সাতটি অঞ্চলে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হয় বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। আজ জাতীয় পর্বের মাধ্যমে শেষ হবে এ আয়োজন। দেশের সর্ববৃহৎ মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও সর্বাধিক পঠিত বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা এ আয়োজন করছে।