লাশ
লাশ

সিঁড়ির নিচে পড়ে ছিল চোখ উপড়ানো তরুণের গলিত লাশ

রাজধানীর কদমতলীর আলমবাগ এলাকার একটি বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে এক তরুণের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ইমন হোসেন (২৬)। শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ বলছে, তরুণের এক চোখ উপড়ানো ও বুকে পোড়া চিহ্ন ছিল। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনোভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, যে বাড়ি থেকে তরুণের লাশ উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে তাঁর বাসা বেশি দূরে নয়। তিনি সেখানে গেলেন কীভাবে, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁকে হত্যার পর চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, মরদেহ দেখে তা মনে হয়নি। বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর পর কোনো প্রাণী তরুণের চোখ উপড়ে ফেলতে পারে। তবে এই ধারণার সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই। তিনদিন ধরে মরদেহটি সিঁড়ির নিচে পড়ে ছিল। কিন্তু বাড়ির লোকজন টের পাননি এটাও রহস্যজনক।ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধার হওয়ার পর নিহত ইমন হোসেনের পরিবার হত্যার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কিনা এখন সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে ইমন তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসায় ফিরবেন। তবে দীর্ঘ সময় পরও বাসায় না ফেরায় রাত ১২টার দিকে ইমনের মুঠোফোনে কল করেন তাঁর স্ত্রী। তবে কলটি কেউ রিসিভ করেননি।সেদিন রাতেও ইমন আর তাঁর বাসায় ফেরননি।

ইমনকে না পেয়ে পরদিন কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পরিবার। পুলিশ জানতে পারে ইমনের মুঠোফোনটি জুরাইন এলাকায় সচল। তবে কল দিলে কেউ রিসিভ করেন না। এর মধ্যে শুক্রবার আলমবাগে বাড়ির নিচতলার সিঁড়ির নিচে তাঁর গলিত মরদেহ পাওয়া যায়।

ইমনের মরদেহ সিঁড়ির নিচে পড়ে থাকার খবর পুলিশকে জানান বাড়ির মালিক ফারুক মিয়া। পুলিশকে তিনি বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে বের হওয়ার সময় দুর্গন্ধ পান। দুর্গন্ধ বেশি হওয়ায় খোঁজাখুঁজি করে সিঁড়ির নিচে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরে বিষয়টি পুলিশ জানান তিনি।

খবর পেয়ে ইমনের পরিবার এসে লাশটি শনাক্ত করে। ইমনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদরের গোমস্তাপুরে। বাবা শাহজাহান মিয়া ও মা লাইলী বেগম। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় ছিলেন ইমন।