ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি আবাসিক এলাকার মসজিদে সেমিনার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আইন বিভাগের পাঁচজন শিক্ষার্থী। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে। তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসের শিববাড়ি এলাকায় কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টার বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের ফটকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত সাকিব আজাদ, শাহিনুর আলম, রাফিদ হাসান, রেজোয়ান আহমেদ ও ফাহিম দস্তগীর আইন বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
বুধবার বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে ‘আইন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জোহরের নামাজের পর তাঁরা রোজার ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক এসে বলেন আলোচনা করা যাবে না। তাঁর কথা শেষ না হতেই ছাত্রলীগের শাহবাগ থানার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম এসে হুমকি–ধমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে টাওয়ারের ফটকের কাছে ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশত নেতা–কর্মী তাঁদের ওপর হামলা করেন।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজে শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামকে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে। অবশ্য তিনি দাবি করেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।