সংস্কারকাজ শেষে খুলে দেওয়া হলো লালবাগ কেল্লার হাম্মামখানা

লালবাগ কেল্লা প্রাঙ্গণে চলছে হাম্মামখানার সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ
ফাইল ছবি

রাজধানীর লালবাগ কেল্লার হাম্মামখানা ভবনের সংস্কারকাজ শেষে তা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে সংস্কারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

হাম্মামখানা সংস্কার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের অক্টোবরে শুরু করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর কাজ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা করোনার কারণে হয়নি। এরপর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যেই কাজ শেষে তা উদ্বোধন করা হলো। প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজারভেশন।

লালবাগ কেল্লার দরবার হল সংস্কারের পর

হাম্মামখানা উদ্বোধনের আগে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘হাম্মামখানায় নানাবিধ পরিবর্তন করা হয়েছিল। এখানে একটা আলাদা সিঁড়ি লাগানো হয়েছিল। দরজা আপনমনে তৈরি করা হয়েছিল। হাম্মামখানার ওপরের যেদিক দিয়ে আলো-বাতাস ঢোকে, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটিকে অপরিকল্পিতভাবে একসময় সংস্কার করা হয়েছিল। আমরা সংস্কারের মাধ্যমে আগের জায়গায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’

পানাম সিটিকে সংরক্ষণের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটির প্রাথমিক সমীক্ষা হয়ে গেছে। ডকুমেন্টেশন এখনো হয়নি। এটি কী ছিল, কী হতে পারে, সেটার প্রস্তাব আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করি।’

হাম্মামখানা ভবনের সংস্কারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, ‘আমি সত্যি খুব গর্বিত যে আমরা সংস্কৃতি সংরক্ষণে তহবিল দিতে পেরেছি। আপনাদের এই যাত্রায় অংশীজন হতে পেরেছি। এখন এটি উন্মুক্ত। মানুষ এখন এর স্থাপত্য সৌন্দর্য দেখতে পারবে।’ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কীভাবে বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদ্‌যাপন করছে, এটি আরেকটি উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন পিটার হাস।’

হাম্মামখানাটি আগামী প্রজন্মের জন্য বড় একটি সম্পদ হিসেবে রয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

হাম্মামখানার ওপরের গর্তটি বন্ধ করা হয়েছিল, সংস্কারের পর এখন সে পথে আলো আসছে

এ সময় আরও বক্তব্য দেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দাস, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও এই প্রকল্পের পরামর্শক অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ প্রমুখ।