আবদুল বারেক বিশ্বাস থাকেন রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায়। প্রথমে তিনি গিয়েছিলেন গাবতলী হাটে গরু কিনতে। সেখানে দামে মেলেনি। এরপর যান হাজারীবাগ হাটে। সেখানেও গরুর দাম শুনে বিরক্ত হয়ে যান তিনি। এই দুই হাট ঘুরে কম দামের আশায় উত্তরা দিয়াবাড়ি হাটে যান তিনি। এই হাটে দুই ঘণ্টা ঘুরে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় পছন্দের গরু কিনেন তিনি।
গরু নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে আবদুল বারেক বিশ্বাসকে ক্ষুব্ধ দেখা গেল। বললেন, বিক্রেতারা অস্বাভাবিক দাম চাচ্ছেন।
এই হাটে দুই সন্তানকে নিয়ে গরু কিনতে এসেছেন খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা তানভীর আহমেদ। গরুর দাম শুনে বিরক্ত হয়ে বিক্রেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে বেচার নিয়ত নাই। ইচ্ছামতো দাম চাচ্ছেন।’
টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকা থেকে উত্তরার এই হাটে সকালে গরু কিনতে এসেছেন হানিফ আহমেদ। এই হাট থেকে ১০ বছর ধরে গরু কিনছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। কাল কিছুটা দাম কমতে পারে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই হাট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতারা হাটে আসা শুরু করেছেন। তবে বেশির ভাগ ক্রেতার অভিযোগ দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, গবাদিপশু লালনপালনে খরচ বেড়েছে, তাই তাঁদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিন ঘণ্টা এই হাট ঘুরে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ৮০ হাজার থেকে আড়াই লাখের মধ্যে গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি।
হাট পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও বিক্রেতারা বলছেন, জুমার নামাজ শেষে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে। হাটে আসা ক্রেতাদের মধ্যে অন্তত ৫০ ভাগ গরু কিনবেন। আজ কী পরিমাণ গরু বিক্রি হবে, তা দেখে কাল গরুর দাম হয় অপরিবর্তিত থাকবে, না হয় কিছুটা কমবে।
উত্তরার এই হাটে জামালপুর থেকে ছয়টি গরু নিয়ে এসেছেন হাফিজ মিয়া। তিনি বলেন, যে টাকায় গরু কিনেছেন, তার চেয়ে গরুর দাম কম বলছেন ক্রেতারা।