রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার করে টাকা সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সামান্য আহত ব্যক্তিরা পাবেন ১৫ হাজার করে টাকা।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। ঢাকা মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের নগদ ৫০ হাজার টাকা; যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং যাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন, তাঁদের ১৫ হাজার টাকা করে প্রদান করছি।’
দুর্ঘটনায় সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে জেলা প্রশাসন একটি সহায়তা বুথ স্থাপন করেছে বলে জানান মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, এই বুথে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা রয়েছেন। বুথ থেকে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, যানবাহন সহায়তাসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনে উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভবনের বেজমেন্টে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনী আসবে, তারপর উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা, আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।