জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ

অবন্তিকার আত্মহত্যা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে দুদিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় দুই দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে আইন বিভাগ।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত শোক র‍্যালি ও মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সরকার আলী আক্কাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন ফাইরুজ। গত শুক্রবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন ফাইরুজের মা। মামলার আসামি ফাইরুজের সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। মামলায় আজ আম্মানকে দুই দিনের এবং দ্বীন ইসলামকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ফাইরুজের দুঃখজনক অকাল মৃত্যু এবং ঘটনার সুবিচারের দাবিতে আজ শোক র‍্যালি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ। এ ছাড়া আইন বিভাগ আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শোকসভার আয়োজন করবে।

আজ বেলা ১১টায় মানববন্ধন শুরু হয়। এর আগে হয় শোক র‍্যালি। মানববন্ধনে অংশ নেন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আজকে অবন্তিকা কালকে কে?’, ‘সুইসাইড নয়, টেকনিক্যাল মার্ডার’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান।

বিভাগের শিক্ষক মেফতাহুল হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে বক্তব্য দেন। বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, তদন্ত চলাকালে আসামিদের যেন কেউ বের না হয়ে যায়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর পরিবার যেন হয়রানি-চাপে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

আইন বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা ও শিক্ষক আহমেদ এহাসানুল বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন (তদন্ত প্রতিবেদন) চাই। সঠিক বিচার চাই।’

বিভাগের চেয়ারম্যান সরকার আলী আক্কাস বলেন, অবন্তিকা মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ক্লাসে সব সময় সক্রিয় ছিলেন। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতেন। তিনি বিচারক হতে চেয়েছিলেন। কয়েক দিন পর তাঁর স্নাতকের ফল প্রকাশ হবে। এমন মেধাবী ছাত্রী চলে যাওয়ায় জাতি অনেক কিছু হারিয়েছে। রাষ্ট্রের কাছে দাবি, এই ঘটনার সঠিক-সুষ্ঠু তদন্ত হোক।