সরু তিনটি চাকা। তার ওপর খাঁচার মতো একটি কাঠামো। নাম দেওয়া হয়েছে স্কুলভ্যান। একেকটি ভ্যানে চড়ে স্কুলে যায় ছয় থেকে আটটি শিশু। ভ্যানগুলোর নিবন্ধন নেই, চালকের প্রশিক্ষণ নেই। গতকাল রাজধানীর মিরপুর রোডে
সরু তিনটি চাকা। তার ওপর খাঁচার মতো একটি কাঠামো। নাম দেওয়া হয়েছে স্কুলভ্যান। একেকটি ভ্যানে চড়ে স্কুলে যায় ছয় থেকে আটটি শিশু। ভ্যানগুলোর নিবন্ধন নেই, চালকের প্রশিক্ষণ নেই। গতকাল রাজধানীর মিরপুর রোডে

ঝুঁকিপূর্ণ বাহনে স্কুলে যায় শিশুরা, নেই স্কুলবাস

সড়কে মৃত্যু হওয়া শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ নিহত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে।

তিন চাকার একটি ভ্যানগাড়ি। তার ওপর খাঁচার মতো কাঠামো। নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্কুলভ্যান’। এই স্কুলভ্যানে একেকটিতে ছয় থেকে আটজন করে স্কুলে যায় ঢাকার স্বল্প আয়ের পরিবারের শিশুরা। জনপ্রতি ব্যয় দূরত্বভেদে মাসে এক থেকে তিন হাজার টাকা, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্কুলের বেতনের চেয়ে বেশি।

যাঁদের আয় আরেকটু বেশি, তাঁরা সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যান রিকশা অথবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়। কেউ নিয়ে যান মোটরসাইকেলে। যাঁরা সচ্ছল তাঁরা সন্তানকে স্কুলে আনা–নেওয়া করতে গাড়ি থাকে। যেটা প্রয়োজন, সেটা নেই বেশির ভাগ স্কুলে। সেটি হলো স্কুলবাস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুলভ্যানের মতো অনুমোদনহীন যানবাহন, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে ব্যক্তিগত গাড়ি বা প্রাইভেট কার রাজধানীর যানজট বাড়াচ্ছে। সকালে ক্লাস শুরুর আগে এবং দুপুর ও বিকেলে ছুটির সময় স্কুলকেন্দ্রিক সড়কে যানজট ব্যাপক ভোগান্তি তৈরি করে এই ব্যক্তিগত গাড়ি।

যাঁদের আয় আরেকটু বেশি, তাঁরা সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যান রিকশা অথবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়। কেউ নিয়ে যান মোটরসাইকেলে। যাঁরা সচ্ছল তাঁরা সন্তানকে স্কুলে আনা–নেওয়া করতে গাড়ি থাকে। যেটা প্রয়োজন, সেটা নেই বেশির ভাগ স্কুলে। সেটি হলো স্কুলবাস।

অভিভাবকেরা চান, স্কুলবাস চালু হোক। তাহলে তাঁদের খরচ কমবে, তাঁরা নিরাপদে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারবেন এবং স্কুলে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও থাকতে হবে না।

রাজধানীর মিরপুরের একটি সুপরিচিত স্কুলে পড়ে রওশন আরার নাতি। তিনি শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে সকালে রিকশায় নাতিকে নিয়ে স্কুলে যান। তারপর স্কুলেই সেখানে বসে থাকেন। ছুটির পর আবার নাতিকে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আসা-যাওয়া করতে দিনে রিকশা ভাড়া লাগে ২০০ টাকা, মাসে ২২ দিনে ৪ হাজার ৪০০ টাকা। রিকশায় যেতেও ভয় লাগে; কিন্তু কিছু করার নেই। তিনি বলেন, নাতির ক্লাসের পুরো সময় তাঁকে স্কুলের সামনে বসে থাকতে হয়। স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরে আবার এসে নাতিকে নিতে আরও ২০০ টাকা খরচ হবে। দিনে খরচ দাঁড়াবে ৪০০ টাকা।

রওশন আরা বলেন, স্কুলের বেতন মাসে ২ হাজার ২০০ টাকা। আর যাতায়াত খরচ এর দ্বিগুণ। স্কুলবাস থাকলে তাঁর পরিবারের খরচ কমত। ভোগান্তিও কমত।

আসা-যাওয়া করতে দিনে রিকশা ভাড়া লাগে ২০০ টাকা, মাসে ২২ দিনে ৪ হাজার ৪০০ টাকা। রিকশায় যেতেও ভয় লাগে; কিন্তু কিছু করার নেই। তিনি বলেন, নাতির ক্লাসের পুরো সময় তাঁকে স্কুলের সামনে বসে থাকতে হয়। স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরে আবার এসে নাতিকে নিতে আরও ২০০ টাকা খরচ হবে। দিনে খরচ দাঁড়াবে ৪০০ টাকা।
রওশন আরা

বহুমাত্রিক ভোগান্তি

সারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় তিন কোটি। ঢাকা ও বড় শহরে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের মাধ্যম মূলত রিকশা, স্কুলভ্যান, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, গাড়ি ও ঢাকায় বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী লক্কড়ঝক্কড় বাস। বড় শহরগুলোয় চিত্র মোটামুটি একই। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি ও ব্যয় কমানো, যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা বহু বছর ধরে স্কুলবাস চালুর পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু কাজ হচ্ছে না।

২০১৮ সালের ৭ জুন তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় স্কুলবাস আমদানিতে করছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার কথা উল্লেখ করেন। কথা ছিল, স্কুল কর্তৃপক্ষ অথবা সংশ্লিষ্ট সংস্থা আবেদন করলে কর ছাড় দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি আর এগোয়নি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম স্কুলবাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি গত জুনে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিনটি দোতলা বিআরটিসি বাস বরাদ্দ দেন এবং পরিচালনার দায়িত্ব নেন। এখন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসগুলো এখনো চালু আছে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর সেগুলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে সেগুলোয় যাতায়াত করতে পারে; কিন্তু বেশির ভাগ স্কুলে সেই সেবা নেই।

মিরপুরের একটি স্কুলে একজন নারীকে পাওয়া গেল, যিনি দুই সন্তানকে স্কুলে নিয়ে আসা ও বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন। আরেক নারী জানালেন, তিনি সন্তানকে নিয়ে স্কুলে কয়েক ঘণ্টা থাকেন। ছোট সন্তানকে দেখাশোনার জন্য একজন গৃহকর্মী নিয়োগ দিতে হয়েছে। তাঁর বেতন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় ১০ হাজার টাকার মতো।

অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঢাকার ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, বনানী ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে স্কুলবাস না থাকায় বহুমাত্রিক ভোগান্তির কথা জানা গেল। কেউ বলছেন, তাঁর দুই সন্তান দুই স্কুলে পড়ে। দুজনকে দুই স্কুলে দিয়ে আসা ও নিয়ে আসায় পরিবারের দুজন সদস্যকে নিয়োজিত থাকতে হয়। খরচ তো অনেক।

মিরপুরের একটি স্কুলে একজন নারীকে পাওয়া গেল, যিনি দুই সন্তানকে স্কুলে নিয়ে আসা ও বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন। আরেক নারী জানালেন, তিনি সন্তানকে নিয়ে স্কুলে কয়েক ঘণ্টা থাকেন। ছোট সন্তানকে দেখাশোনার জন্য একজন গৃহকর্মী নিয়োগ দিতে হয়েছে। তাঁর বেতন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় ১০ হাজার টাকার মতো।

৭ নভেম্বর রাজধানীর গ্রিন রোডে পাওয়া গেল এক ব্যক্তিকে। তাঁর মোটরসাইকেলের যাত্রী চারজন। তিনি নিজে, পেছনে ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে বসেছেন স্ত্রী। মাঝে বসেছে তাঁদের প্রথম সন্তান। শিশুটির গায়ে গ্রিন রোডের একটি সুপরিচিত স্কুলের পোশাক। স্বামী-স্ত্রীর মাথায় হেলমেট থাকলেও বাচ্চাদের মাথায় হেলমেট নেই। যানজটে থাকার সময় ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়, ঝুঁকি নিয়ে সন্তানকে স্কুলে নেন কেন? তিনি বলেন, ইচ্ছা করে কেউ নিজের সন্তানকে ঝুঁকিতে ফেলে না; কিন্তু উপায় নেই। মোটরসাইকেলে যাতায়াত সাশ্রয়ী।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, দেশে বিগত সাড়ে পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের প্রায় ৩৩ শতাংশ মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

একজন বেসরকারি চাকরিজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, শুধু সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ঋণ নিয়ে তিনি একটি গাড়ি কিনেছেন। গাড়ির চালকের বেতন, জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসে তাঁর ব্যয় ৪০ হাজার টাকার বেশি। ওদিকে ঋণের কিস্তিও দিতে হচ্ছে। তিনি আর সামলাতে পারছেন না।

শিক্ষার খরচ বাড়িয়েছে পরিবহন

স্কুলবাস না থাকা পরিবারগুলোর খরচ অনেক বেড়েছে। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে স্কুলভ্যানে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে খরচ হয় মাসে এক থেকে তিন হাজার টাকা। স্কুলকেন্দ্রিক ব্যক্তি উদ্যোগে মাইক্রোবাস–সেবাও গড়ে উঠেছে। সেগুলোর ভাড়া দূরত্বভেদে মাসে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা। রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় একেকজনের খরচ একেক রকম। এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সেগুলোর চলাচল নিষিদ্ধ করারও দাবি উঠছে।

ব্যক্তি উদ্যোগের মাইক্রোবাস–সেবায় অভিভাবকেরা অনেক সময় সন্তানকে দিতে চান না। কারণ, আস্থার ঘাটতি। অনেক পরিবারকে আর্থিক চাপ নিয়ে গাড়ি কিনতে হচ্ছে। একজন বেসরকারি চাকরিজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, শুধু সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ঋণ নিয়ে তিনি একটি গাড়ি কিনেছেন। গাড়ির চালকের বেতন, জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাসে তাঁর ব্যয় ৪০ হাজার টাকার বেশি। ওদিকে ঋণের কিস্তিও দিতে হচ্ছে। তিনি আর সামলাতে পারছেন না।

কিছু স্কুলে নিজস্ব পরিবহন আছে। তার একটি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ। সেখানে পড়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের অধিবাসী লাবণ্য লিপির সন্তান। মাসে খরচ আড়াই হাজার টাকা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যবস্থা সাশ্রয়ী। পাশাপাশি নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
অভিভাবকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে স্কুলে যাচ্ছে এক ছাত্রী। তার হেলমেট নেই

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, দেশে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৬টি ব্যক্তিগত গাড়ি নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। বছরে ১০ থেকে ২২ হাজার গাড়ি সড়কে যুক্ত হয়। রাজধানীর যানজট বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাকে অন্যতম কারণ বিবেচনা করা হয়।

রাজধানীর গ্রিন রোডের ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলে পড়ুয়া দুই সন্তানের অভিভাবক কবির হোসেন থাকেন কাঠালবাগানে। তিনি বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য গাড়ি কেনা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

কিছু স্কুলে নিজস্ব পরিবহন আছে। তার একটি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ। সেখানে পড়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের অধিবাসী লাবণ্য লিপির সন্তান। মাসে খরচ আড়াই হাজার টাকা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যবস্থা সাশ্রয়ী। পাশাপাশি নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বাসগুলো স্কুল কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিটি বাসে দুজন করে সহকারী থাকেন। প্রয়োজন হলে তাঁদের ফোন করে সন্তানের খবর নেওয়া যায়।

সড়কে নিহতদের ১৩% শিক্ষার্থী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে গুলিস্তানে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় মারা যায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৭)।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, দেশে গত সাড়ে ৫ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ হাজার ৩৮৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ১৩ শতাংশই শিক্ষার্থী। সংখ্যায় তারা ৪ হাজার ৬২৮ জন। এর মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে যানবাহনের চাপায় বা ধাক্কায়, আর ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী হিসেবে এবং প্রায় ৫৯ শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল আরোহী হিসেবে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, স্কুল পরিবহন নিয়ে সরকারি কোনো আইন নেই। এ কারণে নিবন্ধনহীন পরিবহন বাড়ছে। জেলা-উপজেলা শহরে ও গ্রামের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার বেশি হয়। তিনি বলেন, স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে স্কুলবাস থাকার নিয়মটি যুক্ত করে দিতে হবে, যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে স্কুল পরিবহনে শুল্ক–কর ছাড় দিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিবহনব্যবস্থার জন্য শিক্ষার্থীদের পরিবারের সাধ্যমতো খরচ নিতে পারে।