মেট্রোরেলের (মাস র্যাপিড ট্রানজিট-এমআরটি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত এমআরটি পুলিশে আরও ২০০ জনবল যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে একজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে এমআরটি পুলিশে জনবল এখন ৪৩১ জন। এই জনবল দিয়ে আগামীকাল শনিবার থেকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করবে তারা।
তার আগে আগামীকালই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নেবে এমআরটি পুলিশ। আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্য এত দিন এমআরটির সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছিল।
ডিএমপির মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল ডিএমপি কমিশনার (হাবিবুর রহমান) মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব এমআরটি পুলিশকে বুঝিয়ে দেবেন। একই সঙ্গে এমআরটিতে কর্মরত আনসার সদস্যসহ ডিএমপির ৩৫০ সদস্যকে ডিএমপিতে ফিরিয়ে আনা হবে। এই উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আগামীকাল এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
চলতি বছরের ২৪ মে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত মেট্রোরেল পুলিশ গঠনের অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর পুলিশের একজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে ২৩১ জনবল নিয়ে চালু হয় এমআরটি পুলিশ। উত্তরার দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে এমআরটি পুলিশের কার্যালয় ঠিক করা হয়েছে। তবে এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম এখনো পুলিশ সদর দপ্তরে চলছে।
এমআরটি পুলিশ গঠনের সময় ১ জন ডিআইজি, ১ জন পুলিশ সুপার (এসপি), ১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৮ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৬ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৪১ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), ৫ জন নায়েক, ১৬৩ জন কনস্টেবল, ২ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, উচ্চমান সহকারী ১ জন, ১ জন হিসাবরক্ষক ও ১ জন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেট্রোরেল পুলিশ ১০টি মোটরসাইকেল, ৪টি পিকআপ ও ১টি জিপ বরাদ্দ পায়।
এমআরটির পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এমআরটিতে আরও ২০০ পুলিশ সদস্য দেওয়া হলেও চাহিদার তুলনায় লোকবল অপ্রতুল। এখন প্রতিটি স্টেশনে একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় ১০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য দরকার। স্টেশনের দুদিক থেকে সিঁড়ি, তারপর প্ল্যাটফর্ম। মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই মেট্রোরেল। যখন মেট্রোরেল আগারগাঁও থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে, তখন অনেক পুলিশ সদস্য দরকার হবে। নিরাপত্তার পাশাপাশি এমআরটি পুলিশ স্টেশনে আসা ভিড়ের মধ্যে মানুষকে শৃঙ্খলায় রাখার বিষয়টিও দেখছে।