দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে টানা চার দিনে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হলো। আর চলতি মাসে এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগে ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) পাওয়া তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৬৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২৪৭ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোয় ১২৮ জন এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ৬৫ জন ভর্তি আছেন। এর বাইরে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯১ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৪, খুলনা বিভাগে ৪৬, রাজশাহী বিভাগে ১০, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ ও রংপুর বিভাগে ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এখানে ঢাকা ছাড়া সব বিভাগের হিসাবে সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোকে গণনায় আনা হয়নি।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৭০ জন। এ সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৫১ শতাংশ নারী। আর পুরুষ ৪৯ ৪ শতাংশ।
অপর দিকে জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও নারী ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ হাজার ৯৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। এ সময় মারা যান ৮৫৩ জন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।