পুলিশ ও র্যাব এক বছরে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলা হয়েছে ১৩টি। তবু চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না।
ট্রাক চালিয়ে আবদুর রহমান যখন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলার ঢালে পৌঁছান, তখন রাত ১২টা ৫ মিনিট। ট্রাকটি ধীরগতিতে চলছিল। লাঠি হাতে তিন তরুণ এসে সেটি থামাতে বলেন। একজন বলে ওঠেন, ‘এই বেটা, গাড়ি থামা। থামা বলছি। নইলে তোর গাড়ির গ্লাস ভাইঙ্গা দিমু।’
আবদুর রহমান ভয়ে ভয়ে ট্রাক থামালেন। তরুণদের একজন তাঁর কাছে ‘সিটি টোল’ চাইলেন। পরিমাণ ১০০ টাকা। বাধ্য হয়ে আবদুর রহমান টাকা দিলেন, তরুণেরা তাঁকে ছেড়ে দিল।
ঘটনাটি গত ৩০ জুন রাতের। টাকা দিয়ে ট্রাকচালক আবদুর রহমান কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিটি টোল আদায়ের নামে প্রায় এক বছর ধরে কাজলার ঢালে এই চাঁদাবাজি চলছে। টাকা না দিলে রড-লাঠি দিয়ে পেটান তাঁরা।
অনিয়ম দূর করা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁদের অনেকে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধাভোগী। চাঁদার টাকার ভাগ তাঁরাও পান। এটা একটি বিকাশমান ব্যবসা। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা এমন হয়ে গেছে যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থানটি নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।’ইফতেখারুজ্জামান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক
কাজলার ঢালে এমন চাঁদাবাজি চলতে দেখা গেছে গত বুধবার রাতেও। এই জায়গার মতো রাজধানীর ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, গুলিস্তান, স্বামীবাগ, টিকাটুলী, কাপ্তানবাজার, দোলাইরপাড়সহ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন এলাকায় সিটি টোলের নামে ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।
এসব এলাকায় নির্ধারিত বাস ও মিনিবাস থেকে টোল আদায়ের জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইজারা দিয়েছে, এটা ঠিক। তবে ইজারাদারের নামে ট্রাক ও সমজাতীয় পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, যা অবৈধ। কখনো কখনো ট্রাকে পণ্য বেশি থাকলে টাকা বেশি নেওয়া হয়।
পুলিশ ও র্যাব এসব এলাকায় চাঁদাবাজির সময় গত এক বছরে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যাত্রাবাড়ী, পল্টন, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী ও ওয়ারী থানায় ১৩টি মামলা করা হয়েছে। কিন্তু চাঁদাবাজি চলছেই।
প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদক ও দুজন আলোকচিত্রী গত তিন মাসে ৯ দিন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ঘুরে এই চাঁদাবাজি দেখেছেন। প্রতিদিন রাতে ওই সব এলাকা দিয়ে শত শত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। ফলে বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে আদায় করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী ও ওয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে সিটি টোলের নামে বহুদিন ধরে একটি চক্র চাঁদাবাজি করে আসছে। অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে চাঁদাবাজি এখনো পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
ইজারাদারকে নির্ধারিত জায়গা থেকে নির্ধারিত হারে টোল আদায় করতে হবে। এর বাইরে টাকা তোলার কোনো সুযোগ নেই।ফরিদ আহাম্মদ, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র ও নথিপত্র বলছে, রাজধানীর পাঁচটি এলাকার অধীনে অন্তত ৫৭টি পয়েন্টে টোল আদায়ের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি এলাকা হলো সায়েদাবাদ, গুলিস্তান–জয়কালী মন্দির, ফুলবাড়িয়া, দয়াগঞ্জ ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল।
সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল ও গুলিস্তান–জয়কালী মন্দির এলাকার নামে ইজারার কার্যাদেশ দেওয়া হয় গত বছরের আগস্ট ও নভেম্বর মাসে। এর অধীনে ৩৫টি পয়েন্টে টোল আদায়ের অনুমতি পেয়েছে ৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের দেওয়া কার্যাদেশে দেখা যায়, তারা সায়েদাবাদ এলাকার অধীনে ১৫টি পয়েন্টে টোল আদায় করতে পারবে।
টোল নেওয়া যাবে শুধু বাস ও মিনিবাস থেকে। কোন কোন পরিবহনের বাস থেকে টোল নেওয়া যাবে, তা-ও ইজারার কার্যাদেশে বলা আছে। একটি বাস থেকে দিনে একবার ৬০ টাকা নেওয়া যাবে। তবে ঠিকাদারের নামে চাঁদা নেওয়া হয় ট্রাক ও সমজাতীয় পরিবহন থেকেও। পুলিশ ও র্যাব যে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাঁদের অন্তত ১০ জন নিজেদের ৭-ইলেভেনের কর্মচারী বলে আদালতে দাবি করেছেন। তাঁরা বলেছেন, পুলিশ ও র্যাব ইজারার বিষয়টি না জেনে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকার গুলিস্তানে জয়কালী মন্দির এলাকার অধীনে ২০টি পয়েন্টে টোল আদায়ের কাজও পেয়েছে ৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজ। টোলের নির্ধারিত হার সিটি বাসের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, টেম্পো, লেগুনা ও পিকআপের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা এবং অটোরিকশার ক্ষেত্রে ১০ টাকা। কিন্তু এখানেও টোলের নামে চাঁদা নেওয়া হয় ট্রাক থেকে। পরিমাণ সাধারণত ১০০ টাকা। তবে পণ্য বেশি থাকলে বেশি টাকা নেওয়া হয়।
দয়াগঞ্জ ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালে ট্রাকপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা টোল আদায়ের সুযোগ রয়েছে। দয়াগঞ্জ ট্রাক টার্মিনালের ইজারা পেয়েছে ৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজ, যারা সায়েদাবাদ ও গুলিস্তানের ইজারাদার। এই প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত জায়গার বাইরে কয়েকটি জায়গা থেকে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যেমন গত ৩০ জুন দিবাগত রাতে সায়েদাবাদ রেলক্রসিং পেরিয়ে স্বামীবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ ব্যক্তি এই পথে আসা ট্রাক থামিয়ে টাকা তুলছেন। রাত আড়াইটার দিকে এই প্রতিবেদক মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যান। মোটরসাইকেলটি থামার সঙ্গে সঙ্গে টাকা তুলতে থাকা ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরদিন ওই এলাকা থেকে একই কায়দায় ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়।
এই প্রতিবেদক চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়া একটি ট্রাককে ওই রাতে অনুসরণ করেন। স্বামীবাগ থেকে গুলিস্তান জয়কালী মন্দির পর্যন্ত গিয়ে ট্রাক থামিয়ে চালকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। এ সময় ট্রাকটির চালক মো. হারুন চাঁদার যে রসিদ দেখান, সেখানে লেখা ছিল, দয়াগঞ্জ ট্রাক টার্মিনাল ও টার্মিনাল-সংলগ্ন এলাকা থেকে পার্কিং ও টোল ফি আদায় ১০০ টাকা। রসিদে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৭-ইলেভেনের নাম লেখা।
রসিদের ছবি নিয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা বলেন, স্বামীবাগ এলাকা থেকে সিটি টোল নিতে কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। এমনকি শনির আখড়াসহ বাকি যেসব এলাকায় ট্রাক থেকে টাকা তোলা হচ্ছে, তা অবৈধ।
দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরিদ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ইজারাদারকে নির্ধারিত জায়গা থেকে নির্ধারিত হারে টোল আদায় করতে হবে। এর বাইরে টাকা তোলার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া করপোরেশনের পরিবহন বিভাগ বিষয়টি দেখবে।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশ ও র্যাব বারবার চাঁদাবাজির অভিযোগে ইজারাদারের কর্মীদের গ্রেপ্তার করলেও সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেয়নি।
৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজের মালিক আফতাব উদ্দিন ওরফে মাসুদ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তিনি হিমাচল পরিবহন নামের একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান। এই ব্যক্তি একসময় দেশ বাংলা পরিবহনের কর্মচারী ছিলেন।
আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে আমার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়েছে র্যাব-পুলিশ। তবে আমার প্রতিষ্ঠানের কেউ ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সিটি টোল আদায় করি বাস, মিনিবাস ও পিকআপ থেকে। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, এর দায়ভার আমার নয়।’
অবশ্য সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আফতাব উদ্দিন সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে কিছু ব্যক্তিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে তাঁর লিখিত চুক্তিও আছে। আফতাব উদ্দিনের নিয়োগ করা ছয়জন ব্যক্তি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সার্বিক বিষয় তদারকি করেন।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সায়েদাবাদ ও এর আশপাশের এলাকায় টোল আদায়ের জন্য আফতাব উদ্দিন তিন পরিবহননেতা শরীফ, বাবু ও সজীবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা তিন ভাই। গুলিস্তান ও এর আশপাশের এলাকার সড়ক থেকে টাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবদুর রহমান নামের আরেক পরিবহননেতাকে। ৭-ইলেভেনের নামেই ট্রাক থেকে চাঁদা তোলা হয়।
পুলিশ ও র্যাবের করা মামলার তদন্তপ্রক্রিয়ায় যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ট্রাকচালকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীরা একের পর এক গ্রেপ্তার হলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আবার এই চাঁদাবাজি চক্রের সঙ্গে জড়িত হোতারাও ধরা পড়েননি। ধরা পড়েছেন শুধু চাঁদা আদায়ে নিযুক্ত ব্যক্তিরা।
চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীরা ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছেন। আমরা যখন অভিযান চালাই, গ্রেপ্তার করি, তখন কিছুদিন চাঁদাবাজি বন্ধ থাকে। পরে আবার শুরু হয়।’ তিনি বলেন, মামলা করেও এই চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
৭-ইলেভেনকে দেওয়া কার্যাদেশ অনুযায়ী, টার্মিনাল কিংবা অন্য জায়গা থেকে যাঁরা রাজস্ব আদায় করবেন, তাঁদের নির্ধারিত পোশাক (মেরুন রঙের অ্যাপ্রোন) পরতে হবে। পোশাকে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে। টোল আদায়ের সময় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। তবে ট্রাক থেকে যাঁরা টাকা নেন, তাঁদের কাউকে নির্ধারিত পোশাক পরতে দেখা যায়নি। বরং হাতে লাঠি ও রড হাতে সংঘবদ্ধ এই চক্র ট্রাকচালকদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করছে।
ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের আবদুল মজিদ মার্কেটের সামনের রাস্তা থেকে যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় গত ৩০ এপ্রিল হাতেনাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলার নথিপত্র বলছে, এ মামলায় গ্রেপ্তার বাবুল হোসেন, জসিম ও রবিন ৭-ইলেভেন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী। মামলার বাদী র্যাব-৩-এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রাজু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বহুদিন ধরে সিটি টোল আদায়ের নামে ট্রাকচালকসহ অন্যান্য যানবাহনের চালকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পাঁচটি এলাকার অধীনে ৫৭টি পয়েন্টে টোল আদায়ের অনুমতি দিয়ে এক বছরে আয় করেছে মাত্র ১৩ কোটি টাকা। কিন্তু টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে কি না, তা তদারকি করা হয় না। এর সুযোগ নিয়ে ‘সন্ত্রাসী কায়দায়’ যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। অথচ ইজারার কার্যাদেশে বলা হয়েছে, টোল আদায়ের ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলাপরিপন্থী কোনো কাজের প্রমাণ পেলে ইজারাদারকে সাত দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ইজারা বাতিল করা হবে।
জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অনিয়ম দূর করা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁদের অনেকে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধাভোগী। চাঁদার টাকার ভাগ তাঁরাও পান। এটা একটি বিকাশমান ব্যবসা। তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা এমন হয়ে গেছে যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অবস্থানটি নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।’