মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘এবারের গণ–অভ্যুত্থানের বিজয়ের পরও আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের দাপট দেখছি। এদের দোসররাও সক্রিয়। এরা মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
রুহিন হোসেন আরও বলেন, এবারের অঙ্গীকার হবে, ‘মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখে দাঁড়ানো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২০২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার সংগ্রামকে অগ্রসর করা’।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকদের পরাজিত করে আমরা যে শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। এ জন্য ৯০–এর গণ–অভ্যুত্থান করতে হয়েছে। ২০২৪–এ আবার অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে অভ্যুত্থান করতে হয়েছে।’
মো. শাহ আলম আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র, গণতন্ত্র, গণতন্ত্র। এ জন্য অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
এর আগে সিপিবির নেতা–কর্মীরা শোভাযাত্রা করে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাজেদুল হক, লূনা নুর, আবিদ হোসেন, ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব, মানবেন্দ্র দেব, লাকি আক্তার, আশরাফুল আলম, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমানসহ বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতা ও দলের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।