মিরপুর–১০ নম্বর চত্বরে অবস্থান করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছেন। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে
মিরপুর–১০ নম্বর চত্বরে অবস্থান করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছেন। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে

মিরপুর–১০ নম্বরে বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার আন্দোলনকারী

রাজধানীর মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে অবস্থান নিয়ে কয়েক শ মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তাঁদের কণ্ঠে ছিল কোটা সংস্কারের দাবির স্লোগান। তাঁদের অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। এমনকি চত্বরের কয়েক জায়গায় বাঁশ ও কাঠের টুকরা জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা।

এই বিক্ষোভের কারণে আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

এর আগে বেলা দুইটার কিছু পরে মিরপুর–১০ নম্বরে একটি পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। বেলা পৌনে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি ছাব্বীর আহম্মেদ। ওই ঘটনায় তিনিসহ আরও কয়েকজন সহকর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ সদস্য।

মিরপুর অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খানমও পুলিশ বক্সের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মিরপুর–১০ নম্বরে আজ সকাল থেকেই পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।

সকাল ১০টার দিকে মিরপুর টোলারবাগে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকার সড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এর এক ঘণ্টা পর মিরপুর–১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময়ও পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা জানান, সেখানে পুলিশ ও যুবলীগের সদস্যরা তাঁদের পিটিয়েছেন।

মিরপুর–১০ নম্বরের গোলচত্বরে আগুন জ্বলছে। আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে

এ বিষয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় পুলিশ কাউকে ধাওয়া করেনি।

দুপুর সোয়া ১২টার পরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। তখন মিরপুর ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর বেলা একটার দিকে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা গোলচত্বরে অবস্থান নেন। আর আন্দোলনকারীদের অবস্থান ছিল গোলচত্বর থেকে কাজীপাড়ার দিকে আসতে আল-হেলাল হাসপাতালের সামনে। আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশের অবস্থান ছিল মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের দিকে। বেলা একটার দিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে বলেন, পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে। এর আগে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে।

বেলা তিনটার দিকে মিরপুর–১০ নম্বর এলাকায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা খণ্ড খণ্ড মিছিলও করছিলেন, স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে ওই সময় মিরপুর–১০ নম্বর এলাকায় পুলিশ দেখা যায়নি।