ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন প্রশাসক মাহমুদুল হাসান
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন প্রশাসক মাহমুদুল হাসান

অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএনসিসির প্রশাসক মাহমুদুল হাসান

সম্প্রতি অপসারিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের দায়িত্ব পালনকালে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকলে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটিতে নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসান বলেন, রাষ্ট্রের কর্মপদ্ধতি, নিরীক্ষা কার্যক্রমের মধ্যেই বিষয়গুলো রয়েছে। তাই আগে যা হয়েছে, এ বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সংস্থাটির নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। আজ সকালে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনেই ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, অতীতে যা ঘটেছে, সেখানে যদি ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনে তদন্ত হবে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-২ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে করেন মাহমুদুল হাসান

মতবিনিময়ে প্রশাসক মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার যে প্রত্যাশা, সেটি পূরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবার পরিসর বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মশকনিধনে কার্যক্রম জোরদার করা হবে জানিয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা হবে। জন্ম, মৃত্যুনিবন্ধনসহ অন্য সব নিয়মিত সেবা অব্যাহত রাখা হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় ঢাকা উত্তর সিটির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বরকত হায়াত উপস্থিত ছিলেন।