উচ্ছেদের সাত মাস পরও পুনর্বাসন না করায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজধানীর ধলপুর সিটি পল্লীর বাসিন্দারা। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
আজ বিকেলে ধলপুর সিটি পল্লী পুনর্বাসন ও সুরক্ষা কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ কালাম গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, সেখানে একটি সমাবেশও করেছেন বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার আইন করেছে ‘দলিল যাঁর জমি তাঁর’, অথচ দলিল থাকা সত্ত্বেও ধলপুর পল্লী সিটির ২৩০ পরিবারকে উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ১৯৯০ সালে তিনটি রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে ধলপুর পল্লী সিটি বস্তিবাসীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে ২৩০ পরিবারকে চুক্তির মাধ্যমে ধলপুর পল্লী সিটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সারা জীবনের অর্থ-শ্রম-মেধা বিনিয়োগ করেছেন সেখানে। উচ্ছেদের পর তাঁরা আজ গৃহহীন, কর্মহীন। দাবি না মানলে নগর ভবন ঘেরাও, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ধলপুর সিটি পল্লী পুনর্বাসন ও সুরক্ষা কমিটির সভাপতি আলী হোসেন। আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা শ্রমিকনেতা সেকেন্দার হায়াৎ, সাধারণ সম্পাদক রাসিদা বেগম, সহসভাপতি ফারুক হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোকন ও সুমি বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বাবু, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ প্রমুখ।
আলী হোসেন রোববার রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ধলপুরের যে জায়গায় তাঁরা ৩৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন, সেই জায়গায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তখন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তাঁদের পুনর্বাসন করা হবে; কিন্তু সাত মাসের বেশি সময় পার হলেও তাঁদের পুনর্বাসন করা হয়নি।