শিল্পকলা একাডেমিতে পোস্টার, পেইন্টিং, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র ও কার্টুন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর
শিল্পকলা একাডেমিতে পোস্টার, পেইন্টিং, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র ও কার্টুন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর

বিজয় দিবসে শিল্পকলায় মাসব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘২০২৪: ঐ নূতনের কেতন ওড়ে’ শিরোনামে পোস্টার, পেইন্টিং, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র ও কার্টুন প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।

শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব ২০২৪ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, কারণ স্বাধীনতা বেহাত হয়ে গিয়েছিল। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই ’২৪–এর জুলাই হয়েছে। একাত্তরের চোখ দিয়েই ২০২৪ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর একাত্তরের খণ্ডিত ইতিহাস মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জেনারেল ওসমানী নেই, তাজউদ্দীন নেই; শেখ মুজিবকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁরা (আওয়ামী লীগ) তাঁদের ভাবাদর্শ তৈরি করেছেন, যা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের অতীতের স্মৃতি।

বিজয় দিবসে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দর্শক–শ্রোতারা। ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও স্বৈরাচার পতনের পর দেয়াললিখন ও দেয়ালচিত্রের আন্দোলনসহ, আলোকচিত্রে আন্দোলনের প্রামাণ্য দলিল তুলে ধরে বহুমাত্রিক একটি আর্কাইভ গড়ে তোলার প্রাথমিক প্রয়াস হিসেবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। প্রদর্শনী চলবে মাসব্যাপী।

এদিকে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি নেয়। সোমবার সন্ধ্যায় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিজয়ের মঞ্চে দর্শক মাতায় আর্টসেল ও লালন ব্যান্ড। দিনের আয়োজন শুরু হয় সকাল ১০টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে।